স্কুল-কলেজ ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে সরকার।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং অভিভাবকরা তা নিশ্চিত করবেন।”

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে সংসদ টেলিভিশনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠানের শ্রেণি পাঠ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

আর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অধ্যক্ষদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের ‘সাধারণ ছুটির’ সঙ্গে রোজা ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে মাউশি বুধবার স্কুল-কলেজে বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়ে আদেশ জারি করল।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। সরকারি ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে, পিছিয়ে গেছে এসএসসির ফল প্রকাশ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আজ থেকে মসজিদে জামাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবি পড়া যাবে

আজ বৃহস্পতিবার জোহর থেকে নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে দেশের সকল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবি জামায়াতে পড়া যাবে।

বুধবার (৬ মে) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়। পরে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি রমজান মাসে দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। দেশের শীর্ষ আলেম-উলামারা মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’

তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) জোহরের নামাজের পর থেকে সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী থাকবে। এসব শর্তাবলির কথা সারাদেশের মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হবে।’

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যেসব শর্ত মেনে মসজিদে নামাজ পড়তে হবে-

১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানিসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ ৩ ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে।

৫. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৬. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

৭. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৮. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৯. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

১০. উল্লিখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফের জন্য অবস্থান করতে পারবেন।

১১. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১২. খতিব ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে যাওয়া যাবে না

সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছে আরো ১১ দিন। ছুটি কার্যকর থাকবে ১৬ মে পর্যন্ত। নতুন ছুটির সময় থেকে রাত ৮টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজন (চিকিৎসা, লাশ দাফন, জরুরি সেবার কাজ) ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।

আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলাদা আদেশ জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা ছিল।

ঈদের আগে বা পরপরই এসএসসির ফল প্রকাশের চেষ্টা

ঈদের আগে বা পরপরই এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের চেষ্টা করছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। এ লক্ষ্যে জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ডাকযোগে ওএমআর শিট পাঠাতে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাবের মধ্যেও ভিন্ন উপায়ে ফল প্রকাশের কাজ শুরু করা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা মহানগরের যেসব ওএমআর শিট ছিল সেগুলো আমাদের হাতে চলে এসেছে। আমরা স্ক্যানিংয়ের কাজ শুরুও করেছি। অনেক উপজেলা থেকে প্রধান পরীক্ষকরা ডাকযোগে ওএমআর শিট পাঠাতে পারছেন না। আমরা তাদের বলেছি, যেভাবেই হোক জেলা সদরে এসে ডাকযোগে শিট পাঠাতে। আর কয়েকদিন পরে বলা যাবে, আমরা কবে এসএসসির ফল প্রকাশ করতে পারবো।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, ঈদের আগেই এসএসসি ও সমমমানের ফল প্রকাশ করতে। সেটা না পারলে ঈদের পরপরই ফল প্রকাশের চেষ্টা থাকবে। আর ফলাফল কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলে গিয়ে নিতে হবে না। শিক্ষার্থীরা এসএমএস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ফল জানতে পারবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তির পুরো কার্যক্রম চলে অনলাইনে। কিন্তু এসএসসির ফল প্রকাশ করতে না পারায় একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। তাই আমরা এই সাধারণ ছুটির মধ্যেও ভিন্ন উপায়ে কাজ শেষ করে এসএসসির ফল প্রকাশের চেষ্টা করছি।’

গত রবিবার এসএসসির খাতার ওএমআর শিট ডাকযোগে পাঠাতে ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকার প্রধান পরীক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আগামী ১০ মের মধ্যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বোর্ডে ওএমআর শিট পাঠাতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, কমলা রঙের প্যাকেটে জরুরি উলে­খ করে সিলমোহরকৃত অবস্থায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এসএসসির খাতার ওএমআর শীট পাঠাতে হবে প্রধান পরীক্ষকদের। আর ওএমআর পাঠানোর ঠিকানা হিসেবে উলে­খ করা হয়েছে, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, ১৩-১৪ জয়নাগ রোড বকশিবাজার ঢাকা।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর এসএসসি পরীক্ষার খাতার ওএমআর শিট স্ক্যানিং স্থগিত করেছে ঢাকা বোর্ড। করোনার মধ্যেই ফের ওএমআর স্ক্যানিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এসএসসির তত্ত্বীয় এবং ৫ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়। শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, গত একযুগ ধরেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেই হিসেবে চলতি সপ্তাহেই এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কথা। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারনে সবকিছু বন্ধ থাকায় যথাসময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না এসএসসির ফল। আর এসএসসির ফল প্রকাশ না করতে পারায় অনলাইনে একাদশ শ্রেনীর ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা যাচ্ছে না।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

রোজায় লেবু জরুরি কেন?

পবিত্র রমজান মাস চলছে। রোজায় খাবার খাওয়ার সময় বদলে যায়।তাই খাবারের বিষয়ে অধিকতর সচেতন হতে হয়। বদলাতে হয় খাবারের তালিকাও।ইফতারে মুখরোচক ভাজাভুজি খেয়ে শরীরের নানা সমস্যা ডেকে আনেন অনেকে।

বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ও অসুখ-বিসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন-সি। লেবু যে ভিটামিন-সি এর ভালো উৎস সেকথা সবারই জানা। এই রোজায় তাই সুস্থ থাকতে খাবার তালিকায় জায়গা দিতে হবে লেবুকে।
আসুন জেনে নিই লেবুর কিছু উপকারিতা-

সাইট্রাস জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। লেবু সাইট্রাস জাতীয় ফলের মধ্যে একটি, যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি’তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষকে ফ্রি-রেডিক্যাল এর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করতে পারে লেবু।

নারীদের শরীরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৯১ আউন্স এবং পুরুষদের কমপক্ষে ১২৫ আউন্স পানির প্রয়োজন। এই পানি, খাবার এবং পানীয় থেকে সাধারণত শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পানি হাইড্রেশনের জন্য সেরা পানীয়, তবে অনেকেই বেশি পানি খেতে পছন্দ করেন না এর স্বাদের জন্য।

তাই লেবু মিশিয়ে পানি খেলে তা স্বাদ বাড়ায় ও পানি খাওয়ার ইচ্ছেও বাড়িয়ে তোলে। এটি শরীরকে হাইড্রেড করতেও সাহায্য করে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু পাঁচ, নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন।

ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৪৩ জনে।

সোমবার (৪ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩১৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ২৬০টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৯৬টি।
ksrm

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু পাঁচ জনের মধ্যে ঢাকার তিন জন, সিলেটের একজন, ময়মনসিংহের একজন। মৃত্যু পাঁচ জনই পুরুষ। এদের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৯০ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৬৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ২ হাজার ৭৪২ জন।

তিনি জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি। আইসিইউ রয়েছে ৩৪১টি, ডায়ালাসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি।

সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে সরকার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকার করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে কারণে আমাদের দেশে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলছে। সেই ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি।

সোমবার সকাল ১০টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। সকাল ১১টার কিছু পর প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আরও চার দফা বাড়িয়ে ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। সাধারণ ছুটির মধ্যেই সরকার পোশাক কারখানাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধীরে ধীরে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছি৷ যারা বের হবেন, তারা নিজে সুরক্ষিত থাকবেন, আর অপরকে সুরক্ষিত রাখবেন। আর বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়ে বের হবেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, রমজান মাস মানুষের সুবিধার জন্য সীমিত আকারে বাজার খোলার নির্দেশ দিয়েছি, যাতে মানুষ তার কেনাকাটা করতে পারে। আর ছোটখাটো ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে বড় ধরনের জনসমাগম যাতে না হয়। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বড় ধরনের জনসমাগম করা যাবে না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তার ফলও আমরা পাচ্ছি।

ভিডিও কনফারেন্সে আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি ছাড়াও শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম সংযুক্ত হন।

করোনায় আম নিয়ে উৎকণ্ঠায় সাতক্ষীরার চাষিরা

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আম বাজারজাত করা নিয়ে শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা ভর করছে সাতক্ষীরার প্রায় ১৩ হাজার আম চাষির মধ্যে। সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অধিকাংশ বড় বড় বাজার বন্ধ। এমন অবস্থায় অন্য জেলায় আম বাজারজাতের ব্যবস্থা করা না গেলে চাষিরা বিপুল লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৯টি আম বাগান আছে। ১৩ হাজার ৯৯ জন চাষী আম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আম পাড়া শুরু হবে। তার আগেই আম পাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৭ মেট্রিক টন নিরাপদ ও বালাইমুক্ত আম ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নলকুড়া গ্রামের আম চাষি ও বিদেশে আম রপ্তানিকারক শেখ আব্দুল আলিম বলেন, ১৫টি বাগানে তাঁর ২০ বিঘা জমিতে ২৫০-৩০০টি আম গাছ আছে। এসব আম বাগানের ইজারা ও পরিচর্যা করতে ঋণ নিয়ে খরচ করেছেন প্রায় তিন লাখ টাকা। এখন পরিচর্যা করছেন। আশা করেছিলেন সাড়ে ছয় লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এক প্রকার বন্ধ। বিদেশে আম রপ্তানি করতে পারবেন না। স্থানীয়ভাবে যা বিক্রি হবে তাতে এক লাখ টাকার বেশি উঠবে বলে তিনি মনে করছেন না।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার আম চাষি নূরুল আমিন বলেন, জেলার বাইরে ও বিদেশে আমের বাজার ধরতে না পারলে সবাই লোকসানে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি একটি ১৭ বিঘার আম বাগান তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। দুই সপ্তাহ পর থেকে আম উঠলে আর বাজার স্বাভাবিক থাকলে খুব সহজে তা ছয় লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরেশপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ২২ বিঘার আম বাগান আছে। বিদেশে পাঠানোর জন্য তিনি বাগানের যত্ন করছেন। খরচও হয়েছে অনেক। করোনা পরিস্থিতির কারণে আম বাজারজাত করা যাবে না বলে মনে করছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে তাঁকে লোকসান গুনতে হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে পাকে। এ জেলার আম স্বাদে, মানে ও গুণে বেশ ভালো। সাতক্ষীরার ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও ক্ষিরসরাইসহ বিভিন্ন জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হয়। দেশের বাজারেও ভালো কদর। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাষিরা যাতে অনলাইনে আম বিক্রি করতে পারেন, সেই চিন্তা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে এবার বিদেশে আম রপ্তানি করার সুযোগ নেই। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দেশের অন্য জেলায় বাজারজাত করা সম্ভব হবে না হয়তো। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে সাতক্ষীরার উৎপাদিত আম ১৪০-১৫০ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চাষিরা বিপুল টাকার লোকসানে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রথম আলো

সাতক্ষীরায় জমি বিক্রি করে ত্রাণ দিচ্ছেন কৃষক

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়া মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন কৃষক নাজিম সরদার।

ক্ষুধার্ত মানুষের আহাজারি তাকে ভাবিয়ে তোলে। নাজিম সরদার সম্পদশালী নন। তবে তার মায়ের কিছু জমি আছে। অভাবী এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বৃদ্ধা মা মাহফুজা বেগমকে অনুরোধ করেন তিনি। অবশেষে ছেলের অনুরোধে মা এক শতক জমি বিক্রি করেই দাঁড়ালেন অভাবী মানুষের পাশে। কৃষক নাজিম সরদার সখিপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত. ছবিয়ার রহমানের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য।

কৃষক নাজিম সরদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকায় মানুষের খুব অভাব। কেউ ভ্যান চালাতে পারছেন না, আবার কেউ দোকান খুলতে পারছেন না। শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই। মানুষের এমন দুর্দশা দেখে আমার খারাপ লেগেছে। আমিও অভাবী মানুষ। ভিটেবাড়ি ছাড়া আমার কোনো জায়গা-জমি নেই। অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করে সংসার চলে আমাদের।

তিনি বলেন, অভাবী এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমার ৭৫ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে আলোচনা করি। পরে মা বলেন, আমি বাবার বাড়িতে এক শতক জমি পাব। ওটা বিক্রি করে মানুষকে সহযোগিতা করতে পারিস। তারপর সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর এলাকায় মামার বাড়িতে থাকা এক শতক জমি ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি। ২০ বস্তা চাল ৪০ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে ধোপাডাঙ্গা এলাকার ১০০ গরিব পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে বিতরণ করেছি। চালের দোকানে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। এখনও ১০ হাজার ৮০০ টাকা বাকি রয়েছে।

নাজিম সরদারের বৃদ্ধা মা মাহফুজা বেগম বলেন, অসহায় মানুষের সহযোগিতার জন্য ছেলে টাকা দাবি করে। আমি টাকা পাব কোথায়। এরপর বাবার বাড়িতে থাকা এক শতক জমি বিক্রি করে টাকা নাজিমের হাতে দেই। এরপর নাজিম চাল কিনে নিয়ে আসলে ১০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছি।

এ বিষয়ে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য নাজিম সরদারের চাল বিতরণ করার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও সরকারের দেয়া খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া আফরিন বলেন, জমি বিক্রি করে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেয়ার বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। কেউ আমাকে বিস্তারিত জানায়নি।

সাতক্ষীরায় এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ স্বামী রিপনের নামে

এস এম আব্দুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাত ১০টার সাতক্ষীরা সদর উপাজেলার ভোমরা দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। জনগণ নিহতের স্বামীকে আটক করে।

মৃত গৃহবধু মেহেনাজ পারভিন (১৯) তিনি সদর উপজেলার ভোমরা দাসপাড়ার রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।
উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের সুমন হোসেন জানান, ৩ মাস আগে তার বোন মেহেনাজের সঙ্গে সদরের ভোমরা গ্রামের দাসপাড়ার শ্রমিক রিপনের বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় নগদ টাকা ও সোনার গহনা সহ এক লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। রিপনের আগের স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। রিপন ও তার বাবা মায়ের সঙ্গে আগে লক্ষীদাঁড়ি গ্রামে থাকতো। সম্প্রতি তারা ভোমরা দাসপাড়ায় ঘরসহ জমি কিনে বসবাস করে।
একইসাথে থাকতো রিপনের বোন রুপা ও তার স্বামী হযরত আলী।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজকে নির্যাতন করতো রিপন,তার বোন রুপা, বোনের স্বামী হযরত, শ্বশুর রবিউল, শ্বাশুড়ি খাদিজা । বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মাকে রিপন ফোন করে জানায় যে মেয়েকে নিয়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে।

রাত ৯টার দিকে বোনকে অবারো নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় বোনের শ্বশুর মোবাইল ফোনে ছোট মাকে খবর দিয়ে সদর হাসপাতালে যেতে বলে। রাত ১০টার দিকে তারা সদর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই বোন মারা গেছে খবর পান। ১১টার দিকে বোনের লাশ লক্ষীদাড়িতে এনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার দিয়ে লাশ মাটি দেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে একটি ঘরে রাখে।

রিপনের চাচা বাবলুর সহযোগিতায় ঘরের জানালা ভেঙে রিপনের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। মৃতের নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল।
শুক্রবার সকালে ভোমরা দাসপাড়ার বিকাশ দাস, গোপাল দাস ও প্রতিমা রানী দাস জানান, রিপন ভোমরা বন্দরে খুচরো পেঁয়াজ বিক্রি করতো।
করোনার কারণে কাজ ছিল না তার। অভাবের তাড়নায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকতো।

এ কারণে মেহেনাজকে মারপিট করা হতো।
বৃহষ্পতিবার মেহেনাজকে নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জেনেছেন।
তবে আটককৃত রিপন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সে সাংবাদিকদের জানায়, তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, মৃতের লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে, বিষয়টা তদন্তে সাপেক্ষে।